সর্বশেষ

বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট: বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণ আলোচনা শুরুর প্রত্যাশা আইএমএফের

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে। ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।'

বুধবার আইএমএফের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঋণের জন্য খাত ও অর্থের পরিমাণ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছে। রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) ফান্ড থেকে ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় এক বিবৃতিতে আইএমএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবস্থান জানাল। তবে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করেনি সংস্থাটি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার ইতোমধ্যে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার শিথিল করেছে, কম জরুরি পণ্য এবং জ্বালানি আমদানিতে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কম জরুরি প্রকল্পে বরাদ্দ স্থগিত করে বেশি জরুরি খাতে ব্যবহারের নির্দেশনা জারি হয়েছে। তারপরও আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও সাম্প্র্রতিক বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।


-আইএমএফ বলছে, তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, যেসব সমস্যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
 

বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট: বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণ আলোচনা শুরুর প্রত্যাশা আইএমএফের


-বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা দিতেই তারা আরএসটি ফান্ড গঠন করেছে এবং বাংলাদেশও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে পারে। আর এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে হলে আইএমএফ-সমর্থিত প্রকল্প নিতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিতে আইএমএফ প্রস্তুত। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্যও আরএসটি ফান্ড সচল হয়ে যাবে। আর এই সময়ে আইএমএফ কর্মীরা প্রকল্প চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেবে।

'এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। এতে বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়েছে। চলতি হিসাবে ঘাটতি ১৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।'
 -খবর এএফপি ও রয়টার্সের

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত